আমাদের খেজুরের গুড় চিনি, হাইড্রোজ, ফিটকিরি চুন, ময়দা, সুজি ইত্যাদি মুক্ত। এব্যাপারে আমরা শতভাগ গ্যারান্টি দিয়ে থাকি।
খেজুরের গুড় খাওয়ার উপকারিতা:
পুষ্টিগুণ বিচারে খেজুরের রস থেকে প্রস্তুতকৃত গুড় উৎকৃষ্টমানের। এতে বিদ্যমান প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও আয়রনের পরিমাণ অনেক বেশি।
খেজুরের গুড় সাদা চিনির একটি চমৎকার পরিপূরক। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ বিদ্যমান।
এটা অনেক খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করে এবং এতে কোন ক্ষতিকর রাসায়নিক অথবা কৃত্রিম উপাদান নেই।
লিভার সুস্থ রাখে।
এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং ঔষধি গুণাগুণ বিদ্যমান। এটা শরীরের ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে এবং ঠান্ডা, কাশি সারাতে সাহায্য করে।
খেজুরের গুড়ে উচ্চমাত্রার কম্পোজিট কার্বহাইড্রেট বিদ্যমান যা স্বাভাবিক চিনির চেয়ে খাবারকে দ্রুত হজম করে।
এতে উচ্চ মাত্রার ডায়েটারি ফাইবার বিদ্যমান যা কন্সটিপেসান, অনিয়মিত বাউয়েল মুভমেন্ট এবং অপরিপাকজনিত সমস্যা দূর করে।
খেজুরের গুড় মাইগ্রেনের ব্যথা দূর করে।
প্রতিদিনের ডায়েটে এক টেবিল চামচ গুড় যোগ করলেই দ্রুত এর ফলাফল পাওয়া যায়
শুষ্ক কাশি, ঠাণ্ডা এবং এজমা সারাতে খেজুর গুড় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটা মিউকাস দূরীকরণের মাধ্যমে শ্বাসযন্ত্রকে পরিষ্কার রাখে।
খেজুরের গুড়ে উচ্চমাত্রার আয়রন থাকায় এটা হিমোগ্লোবিন লেভেল বাড়ানোর মাধ্যমে অ্যানেমিয়া দূর করে।
এতে বিদ্যমান ম্যাগনেসিয়াম নার্ভাস সিস্টেমকে পরিচালিত করে। এ গুড় একইভাবে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং পটাশিয়ামও সমৃদ্ধ।
খেজুরের গুড় ক্যালসিয়ামের একটি চমৎকার উৎস যা হাড়কে শক্তিশালী করে। এটি আর্থারাইটিস, জয়েন্টের ব্যথা এবং অন্যান্য হাড়জনিত সমস্যাগুলোও দূর করে।
পটাশিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ায় এটা শরীরের ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স নিয়ন্ত্রণ করে।
তথ্যসূত্র: কৃষি তথ্য সার্ভিস, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে সরকার
পুষ্টিবিদরা বলছেন, চিনির চেয়ে গুড় খাওয়া অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। আর নানা ধরনের গুড়ের মধ্যে খেজুর গুড়ের পুষ্টি অনেক বেশিই বলা যায়।
আমাদের খেজুর গুড় তৈরির প্রক্রিয়া
খুব ভোরে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা হয়।
খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করার পর তা বড় পাত্রে ছেকে পরিষ্কার করে সংরক্ষণ করা হয় ।
কিছুক্ষন পর চুলায় আগুন দেওয়া হয় এবং খেজুরের রস জ্বাল দেওয়া হয় ।
জ্বাল দেয়ার এক পর্যায়ে রস ঘন হয়ে ঝোলা গুড়ে পরিণত হয়।
ঝোলা গুড়কে আরও কিছুক্ষণ জ্বালের মাধ্যমে তৈরি করা হয় দানাদার গুড়।
এবার দানা গুড়কে আরও কিছুক্ষণ জ্বালের মাধ্যমে বীজ দেওয়া হয়।
এই বীজের মাধ্যমে তৈরি হয় পাটালি গুড়। পাটালি গুড় তৈরি করার জন্যে নির্দিষ্ট পরিমাণে ঘণ করার পরে তা ছাঁচে/নির্দিষ্ট আকারের পাত্রে ঢেলে বিভিন্ন আকৃতি দেওয়া হয়।
গুড়ের ব্যবহার
খেজুরের গুড় ও পাটালি দিয়ে বিভিন্ন ধরনে মুখরোচক খাবার তৈরি করা যায়।
ফিরনি, পায়েস,গুড়ের শরবত, গুড়ের চা, এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ডেজার্ট আইটেম তৈরী হয়।
শীতে পিঠার জন্য গুড়া ও পাটালি খুবই জনপ্রিয়।যেমন- ভাপা পিঠা,পাটিসাপটা পিঠা,নকশী পিঠা, তেলের পিঠা,গুড়ের জিলাপি,দুধ-পুলি পিঠা,ক্ষিড় পিঠা।